
এই সময়
মোটামুটি সব পক্ষই স্বীকার করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আপনার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। বিএনপির কেউ কেউ অভ্যুত্থানের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড মনে করেন। এ বিষয়ে তারেক রহমানের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমি আমাকে কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। ৫ আগস্ট জুলাই আন্দোলন নামে যেটি সকলের কাছে গৃহীত, এই আন্দোলন সফল হয়েছে জুলাই মাসে কিন্তু এর প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে বহু বছর আগে। এই আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা, বিএনপি হোক বা অন্য দল হোক, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। বিভিন্নভাবে তাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে। আমি মনে করি জনগণ জুলাই আগস্ট মাসে এসে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে অংশগ্রহণ করেছে। শুধু কী রাজনৈতিক দলের নেতারাই সেদিন ছিল? অবশ্যই নয়। সেদিন মাদরাসার ছাত্ররা ছিলেন, গৃহিণীরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে এসেছিলেন সন্তানের পেছনে। কৃষক, শ্রমিক, সিএনজি চালক, দোকানদার, গার্মেন্টসকর্মীসহ সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরাও নেমে এসেছিলেন। অনেক সাংবাদিক যারা স্বৈরাচারের অত্যাচারে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কারোর ভূমিকাকে আমরা ছোট করে দেখতে চাই না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সমাজের দল মত নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের অবদান রয়েছে। এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড কোনো দল বা ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।
আন্দোলন চলাকালে ছাত্র নেতৃত্বের সাথে কতটা যোগাযোগ ছিল এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেহেতু বাইরে থেকে কাজ করছি আমাকে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে হয়েছে। সেই দিনগুলো আপনাদের মনে আছে টেলিফোন ও অনলাইন সিস্টেমের কী অবস্থা করে রাখা হয়েছিল। যোগাযোগ প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে করতে হয়েছে। এটি যে সবসময় খুব মসৃণ ছিল এমন নয়। প্রত্যেকে প্রত্যেককে সহযোগীতা করেছে বলেও জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।