
মুসলিম বিশ্বের তিন দেশের প্রভাবশালী ছয় আলেম। আগামী ১৫ই নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় আসবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রোজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা উবাইদুল্লাহ কাসেমি।
তিনি বলেন, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসছেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ছয় আলেম।
আগত আলেমরা হলেন,
১,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান,
২,ভারতের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি,
৩,দারুল উলুম দেওবন্দের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি (ভারত),
৪,মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানি (ভারত),
৫,মক্কা শরিফের মাওলানা ওমর হাফিজ মক্কি এবং ৬,মাওলানা আবদুর রউফ মক্কি।
উবাইদুল্লাহ কাসেমি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা ফজলুর রহমানের পাকিস্তানের বাসভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সেখানে তাকে বাংলাদেশ সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানি ও আবুল কাসেম নোমানীসহ অন্য দুজনকেও আনুষ্ঠানিক দাওয়াত প্রদান করা হয়েছে। তারা সবাই দাওয়াত কবুল করেছেন।
খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ-এর মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী গণমাধ্যমকে বলেন, খতমে নবুওয়ত সম্মেলন বাস্তবায়নে জোরালো প্রস্তুতিগ্রহণ চলছে। সম্মেলনটি সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের উদ্যোগে এবং খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হচ্ছে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে সকল ঈমানদার মুসলিমদের উপস্থিত থেকে খতমে নবুওয়তের পবিত্র আকিদা সংরক্ষণের আহ্বানে শামিল হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন পীর সাহেব মধুপুরী।
উল্লেখ্য, ‘খতমে নবুয়ত’ শব্দ দুটি আরবি শব্দ। খতম অর্থ শেষ বা সমাপ্তি, আর নবুয়ত অর্থ পয়গম্বরী, নবীত্ব। সুতরাং খতমে নবুয়ত অর্থ নবীগণের সমাপ্তি। ইসলামি পরিভাষায় মুহাম্মদকে (সা.) শেষ নবী হিসেবে মেনে নেওয়াকে খতমে নবুয়ত বলে।