
রাজধানী বাড্ডায় চেতনা ২৪-এর সম্মেলন
হানিফ পাঠান,
গাজীপুর : বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সামাজিক সংগঠন ‘চেতনা ২৪’-এর বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ রবিবার বিকেলে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রফেসর মো. অলিউল হক শাহীন কে সভাপতি এবং হাজী মোহাম্মদ জয়দার আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ কাইয়ুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক ভিপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য এ.জি.এম. শামসুল হক। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন চেতনা ২৪-এর সদস্য সচিব হাজী জয়দার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রফেসর মো. অলিউল হক শাহীন। সহ-সভাপতি খাইরুল আলম ও হারুনুর রশিদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন —ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলাম তুহিন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মাহবুব আলম শাহীন, বাড্ডা থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রিনা জয়দর, মহিলা দলের নেত্রী নাসিম আখতার ও তাহমিনা বেগম, এবং চেতনা ২৪-এর নেতৃবৃন্দ মাহবুবুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বাড্ডা এলাকায় ৬৫ জন দেশপ্রেমিক মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বক্তারা আরও বলেন, এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, তাঁদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ওইসব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় বক্তারা আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে চলা অন্যায়, নিপীড়ন, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার মানুষের আত্মচিৎকার এবং তাদের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই ‘চেতনা ২৪’ সংগঠনটি গঠিত হয়েছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, চেতনা ২৪ ভবিষ্যতেও জাতীয়তাবাদী চেতনায় সমাজ পরিবর্তন ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঢাকা-১১ আসনের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা,বিএনপি র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মহানগর উত্তর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম. এ. কাইয়ুম এই এলাকার উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। বাড্ডা, রামপুরা ও খিলক্ষেত এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলের জমি একোয়ারমুক্ত হয়েছে, ফলে বাড্ডাবাসী গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে এবং বহু উঁচু ভবন ও আবাসন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। বক্তারা বলেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসন থেকে ড. এম. এ. কাইয়ুমকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন তারা। চেতনা সম্মেলনের প্রধান অতিথি ড. এম. এ. কাইয়ুম বলেন, বিগত আমলে আমরা এই এলাকায় যেমনিভাবে উন্নয়নের চেষ্টা করেছি, তাতে গর্ববোধ করি। আমাদের হাত দিয়েই প্রায় ১৩৫০ একর জমি একোয়ারমুক্ত হয়েছিল। আমরা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি, এলাকার রাস্তাগুলো সম্প্রসারণ করে প্রথমবারের মতো ড্রেনসহ পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছি। আজ বাড্ডা এলাকায় যে বিশাল বিশাল অট্টালিকা ও উন্নয়নের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে, তার ভিত্তি আমরা স্থাপন করেছি—এর বিনিময়ে আমরা কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ গ্রহণ করিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে দীর্ঘদিন পর আপনারা ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছেন। তাই সবাই দলবেঁধে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।









