
রাজনীতির আদর্শে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রেখে
উন্নয়ন ও পরিবর্তনে এগিয়ে নিতে চান
বিশেষ প্রতিনিধি
দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নের্তৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর দূরদর্শী নের্তৃত্ব ও সাহসিকতা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। তারই রাজনীতির আদর্শ ও নির্দেশনা মেনে বাঘা-চারঘাটের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিতে চান।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মালয়েশিয়া যুবদল মালাক্কা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কুয়ালালামপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম বিলাত বলছিলেন-চেষ্টা করছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে।। প্রবাসে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বাঘা-চারঘাটের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন—খোঁজ নিচ্ছেন, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার সময় পেলে এলাকায় ফিরে মানুষের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে কুশল বিনিময় করছেন বলে জানান। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে বিএনপি এবার মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, তার মধ্যে রাজনীতির একটি ভিন্ন ধারা রয়েছে। তিনি প্রতিপক্ষকে আক্রমণ না করে, বরং সহযোগিতার বার্তা দেন। তার ভদ্রতা, হাসিমুখ, শালীন আচরণ এবং সবার প্রতি সম্মান দেখানোর মানসিকতা ইতোমধ্যেই এলাকার তরুণ সমাজের মধ্যে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেশি আলোচনায় রয়েছেন আরিফুল ইসলাম বিলাত। উপজেলা কৃষক দলের জহুরুল ইসলাম স্বপন বলেন, এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। “ তিনি রাজনীতিকে মানুষের সেবার মাধ্যম হিসেবে দেখেন, ক্ষমতার জন্য নয়।” তাই এলাকার মানুষ এমন একজন নেতাকে চান, যিনি দুঃখে-সুখে পাশে থাকবেন, ক্ষমতায় গিয়েও জনগণের নাগালে থাকবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম বিলাতের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে থেকেও এলাকার মানুষের পাশে থাকা, সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং পরিষ্কার ইমেজ ধরে রাখা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।
মালোয়েশিয়া থেকে টেলি কনফারেন্সে আরিফুল ইসলাম বলেন, “তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। জনসেবাই আমার রাজনীতি, মানুষের পাশে থাকা আমার অঙ্গীকার।” নিজের যোগ্যতা তুলে ধরে বলেছেন, আমি এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের লোক। আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমি মাটি ও মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি রাজনীতি করি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও কল্যাণের জন্য। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে তারাই আমাকে রাজনীতিতে বেশি উৎসাহিত করেছে। দলের নেতা-কর্মীদের মতো আমিও নির্যাতিত হয়েছি,মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি।
তিনি বলেন, তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে এই জনপদের উন্নয়নে কাজ করছেন। আগামী নির্বাচনে দলকে রাজশাহীর-৬ আসন উপহার দিতে চাই। তবে দলীয় নির্দেশনার বাইরে যাবোনা। যোগ্য মনে করে দল যাকে মনোনয়ন দিবেন আমি তার হয়েই কাজ করবো।
তিনি বলেন, সকলের ঐক্যের কারণে দেশে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। তবে ভেতর এবং বাইর থেকে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। স্বৈরাচাররা বসে নেই, তারা ওত পেতে আছে। ‘দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে চলমান অস্থিরতা দূর হবে।’ নির্বাচিত সরকার না হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেও মন্তব্য করেন আরিফুল ইসলাম বিলাত।
তিনি বলেন, “ আমার কাছে রাজনীতি ক্ষমতা অর্জনের বিষয় নয়—এটি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের লড়াই। আমি চাই বাঘা-চারঘাটের মানুষ উন্নত জীবন যাপন করুক, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও চিকিৎসায় যেন কেউ বঞ্চিত না থাকে।”
“বিএনপি জনগণের দল হিসেবে সব পর্যায়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা জনগণের জন্য কাজের দৃশ্যমান ঐক্য প্রয়োজন। আমি চাই তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও স্বপ্নময় বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ দিতে।” তিনি বলেন,একটি দল তখনই শক্তিশালী হয়, যখন ভেদাভেদ নয়, ঐক্য থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি, কিছু জায়গায় গ্রুপিং, কোন্দল ও বিভাজন, দলের ভাবমূর্তি ও জনসমর্থনে প্রভাব ফেলছে। তাই দলবাজি নয়, ব্যক্তি নয়, আদর্শ ভিত্তিক সংগঠনে বড় হই।
তরুণ উদ্যোক্তাদের মতে, “তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস।” “ পরিচ্ছন্ন ও দায়িত্বশীল রাজনীতিকেরই দরকার আমাদের এলাকায়। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ক্লিন ইমেজের একজন সৎ যোগ্য অভিভাবক দরকার বলে মনে করে আতাউর রহমানসহ এলাকার লোকজন বলেছেন, যাকে ঘিরে বাঘা-চারঘাটের মানুষ আশার আলো দেখবে।
এখন আলোচনা চলছে— রাজশাহী-৬(চারঘাট-বাঘা) আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন কে?
আব্দুল হালিম মিঞা,
বাঘা,রাজশাহী,









